বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক প্রসারের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সজাগ দৃষ্টি রাখছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসী প্রতিবছর বিভিন্ন কারণে (চিকিৎসা, পর্যটন, শিক্ষা প্রভৃতি) ভারতে যায়। গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ভারত থেকে সব ধরনের যানবাহন (বাস, রেল, বিমান) চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বশেষ তথ্যমতে এ মুহূর্তে বিভিন্ন কারণে ভারতে গমন করা বা আটকে পড়া বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।

তিনি জানান, করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধে ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোন ধরণের বিদেশি (প্রবাসী ভারতীয়সহ) ১৪ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভারত থেকেও কোন বিদেশি নাগরিককে বের হতে নিরুৎসাহিত করছে। তাছাড়া ভারতের আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও এ মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহ বাংলাদেশিদের কল্যাণে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা আরও জানান, মিশনের কর্মকর্তারা আটকে পড়া দুই হাজার পাঁচশত জন বাংলাদেশির সঙ্গে বিভিন্নভাবে টেলিফোন, হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা আর্থিক বা অন্যকোন সমস্যার সম্মুখীন হলে, হাইকমিশন ও অন্যান্য মিশনসমূহ তা সমাধানে সচেষ্ট আছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতসহ অন্যান্য দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।