প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দুনিয়াজুড়ে ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে চার-পাঁচ হাজারের বেশি। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণে ব্যাপক প্রাণহানির ঝুঁকি আরো বেশি। 

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এরই মধ্যে খাদ্য সঙ্কটে পড়েছেন দিনমজুরসহ অসহায় মানুষেরা। ভয়াবহ এই মহামারীতে এসব মানুষে পাশে দাঁড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও অন্যান্য পেশাজীবীদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে ‘করোনাদুর্গত সহযোগিতা কেন্দ্র’।

কাজ বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করার জন্য গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংগঠক পরিষদ। কেন্দ্রীয় পরিষদের নিয়মিত কাজ বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করছে ৭ সদস্যের কার্য নির্বাহী কমিটি।

করোনা মোকাবিলায় এই  'করোনাদুর্গত সহযোগিতা কেন্দ্র' পাঁচটি দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছে। 

দাবিগুলো হলো: ১. রোজগারহীন নিম্নবিত্তদের জন্য বিনামূল্যে তিনবেলা পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার এবং মধ্যবিত্তদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

২. দেশের সব উপজেলায় বিনামূল্যে সহজলভ্য করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত পিপিই, প্রশিক্ষণসহ ল্যাবকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই মহামারীর সময় জনগণের সেবায় নিযুক্ত চিকিৎসক, সেবিকাসহ সকল স্বাস্থকর্মীকে ঝুঁকিভাতা দিতে হবে ও তাদের জীবন বীমা করতে হবে।

৩. হাসপাতালসমুহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর, আইসিইউসহ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যরোগে আক্রান্ত রোগীদেরও চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. কৃষক, তাঁতী, কুমার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, খামারি, জেলে প্রমুখ প্রান্তিক উৎপাদকদের উৎপাদিত পণ্য ক্রয়ের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা করতে হবে, মহামারী মোকাবেলায় তাদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে।

৫. করোনা ভাইরাস নিয়ে ইউটিউবসহ অনলাইনে অবৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তিমূলক, কাল্পণিক, মিথ্যাচারপূর্ণ ভিডিও, বক্তব্য ইত্যাদি প্রচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত তথ্যের স্বাধীন প্রবাহ ও মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট বাতিল করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।