- বাংলাদেশ
- ওএমএসের চালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
ওএমএসের চালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষের জন্য দেওয়া ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বরখাস্ত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। ইতিমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত জিও (অফিস আদেশ) জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাসজনিত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়-রোজগারের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে চাল বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে খাদ্য মন্ত্রণালয়/খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কিছু কিছু জায়গায় ওএমএসের চাল কালোবাজারি হচ্ছে।
ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। পাশাপাশি এমন অনিয়ম/দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করাসহ তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি স্থানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনিয়ম/দুর্নীতির বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে অফিস আদেশে।
মন্তব্য করুন