আর দু'দিন পরে শুরু হবে রমজান। করোনার প্রভাবে এই সময়ে চিড়ামুড়িসহ বেশি চাহিদা থাকা সব পণ্য উৎপাদন বন্ধ আছে দেশের অনেক কারখানায়। তবে শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রমজান মাসে যাতে ভোক্তাদের  চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় সে কারণে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ময়মনসিংহ ও নওগাঁ শিল্পনগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ চিড়া-মুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।

বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর মোট ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক ৯০ মেট্রিক টনের অধিক চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদিত চিড়া ও মুড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে সরবারহ করা হয়।

বিসিক শিল্পনগরী  ময়মনসিংহের শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, এ শিল্পনগরীতে মোট ৭২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে পবিত্র রমজানে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের  চাহিদা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৭টি শিল্প কারখানা চালু রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কারখানায় বর্তমানে দৈনিক ৮৬ মেট্রিক টন মুড়ি ও চিড়া উৎপাদিত হচ্ছে। চিড়ামুড়ি ছাড়া ময়মনসিংহ বিসিক শিল্পনগরীতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ , বিস্কুট, কেক, রুটি,  সরিষার তেল, মশার কয়েল, বালাইনাশক, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে, নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে ৫৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে ২৯টি চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার মেট্রিক টন চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে। এছাড়াও এ শিল্পনগরীতে চাল, ডাল, সরিষার তৈল,  খৈল, পশুর ওষুধ ও খাদ্য, পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, ডাল ও ভূষি, টিউবওয়েলহেডসহ অন্যান্য হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার পাশাপাশি কারখানা চালু রাখতে মালিকদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে মোট এক হাজার ৭০২ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে তিনি জানান।