সারাদেশে বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান জোরদার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  মূল্য কারসাজি ও নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় করার দায়ে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ১৭৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অ‌ধিকার সংরক্ষণ অ‌ধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার নির্দেশনায় দেশব্যাপী অভিযান জোরদার করেছে অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো।  অধিদপ্তরের পরিচালক  শামীম আল মামুনের তত্ত্বাবধানে ও উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের  পরিচালনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ৯৪টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) এ অভিযান পরিচালনা করে জ‌রিমানা করা হয়।

রাজধানীতে অ‌ভিযানে নেতৃত্ব দেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস ও  সহকারী পরিচালক, আব্দুল জব্বার মন্ডল, রোজিনা আক্তার , ইন্দ্রনি রায়,মো. মাগফুর  রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস ও মাহমুদা আক্তার। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়। 

রাজধানী শ্যামবাজারে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার চড়া দামে বিক্রির অপরাধে সোমবারও জরিমানা করা হয়। রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও এ অভিযান জোরদার করা হয়। বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়িয়ে পণ্য বিক্রির অপরাধে জরিমানা করা হয়।   

অভিযান প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন,  রমজানে ও করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে বাজার তদারকি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পাইকারি হতে খুচরা পর্যায়ে কোনো অসাধু ব্যক্তি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও মান নিয়ে কারসাজি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।