‘নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। কোনো অবস্থাতেই যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাচাই-বাছাইয়ের নামে ঘুষ নেওয়ার সুযোগও যেন না পায়। আবার অযোগ্য শিক্ষক যেন ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হতে না পারেন।’

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বার্তায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। কমিশন এরই মধ্যে দুদকের জেলা কার্যালয় (সজেকা), গোয়েন্দা অনুবিভাগ ও বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরকে এমপিওভুক্তিকরণ কার্যক্রম নিবিড় পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে। 

বার্তায় দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে যারাই দুর্নীতি করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে ফাঁদ পেতে অপরাধীদের ধরতে হবে।

এরই মধ্যে নতুন এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নামে-বেনামে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে কোনো কোনো উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসসমূহের সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী অনৈতিক অর্থ দাবি করছেন। কমিশনের গোয়েন্দা অনুবিভাগ এসব যাচাই করে কমিশনকে অবহিত করেছে। তারই আলোকে কমিশন এমপিওভুক্তি কার্যক্রম নজরদারির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেশের নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।