সাবেক ছাত্রনেতা, ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সাবেক নেতারা।

বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে সাবেক ছাত্রনেতারা আরও বলেন, সাংবাদিক কাজলের আইনি সুরক্ষা, জামিন পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং জামিনকে বাধাগ্রস্ত না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষও করেছেন- ছাত্রলীগের (জাসদ) সাবেক সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সভাপতি সামসুল ইসলাম সুমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাপ্পাদিত্য বসু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ, তানভীর রুসমত, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, মানবেন্দ্র দেব, ফেরদৌস আহম্মেদ উজ্জল, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, আবু নাসের অনিক, ছাত্রকেন্দ্রের সভাপতি মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় ছাত্রঐক্যের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহম্মেদ খান, ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি কনক বড়ুয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শুভাষিস সমাদ্দার, সমাজবাদী ছাত্রজোটের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম উদ্দীন প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

গত ১০ মার্চ নিখোঁজ হন কাজল। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর গত ২ মে রাতে কাজলকে বেনাপোলে পাওয়া যায় বলে জানান বোনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এসআই ওবায়দুর রহমান।

তিনি জানান, শনিবার রাতে বিজিবি এক ব্যক্তিকে তাদের কাছে দিয়ে যান। পরে তারা জানতে পারেন ওই ব্যক্তিই নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। তখন তিনি কাজলকে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেন।

এরপর ৩ মে তাকে যশোরের দু'টি মামলার একটিতে জামিন দেওয়া হলেও অন্য মামলায় কারাগারে পাঠায় আদালত।