মসজিদে নামাজ আদায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা পালনে আগ্রহী নন অনেক মুসল্লি। মসজিদে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা মানছেন না অনেকে। অনেক মসজিদে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব রেখে নামাজের কাতার করার নির্দেশনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে এ চিত্র দেখা গেছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ৩১ দিন বন্ধ রাখার পর গতকাল জোহরের ওয়াক্ত থেকে ১২ শর্তে মসজিদ খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মুসল্লিদের জন্য। এর আগের এক মাস শুধু খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মসজিদে নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারতেন। বাইরের মুসল্লিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রথম দিনে গতকাল অনেক মসজিদে ছিল মুসল্লির ভিড়। তবে অন্যান্য বছরের রমজানের তুলনায় উপস্থিতি ছিল অনেক কম। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রমজান মাসে নামাজ আদায়ের জায়গা পাওয়া যায় না। কিন্তু গতকাল মসজিদের মূল ভবনে সীমাবদ্ধ ছিল মুসল্লির উপস্থিতি; জামাতে একজন থেকে আরেকজন তিন ফুটে দূরে দাঁড়ান।

সরকারি শর্ত মেনে মসজিদের প্রবেশ পথে ছিল হাত জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজার। প্রবেশ পথে ছিলেন মসজিদের খাদেমরা। তারা বলার পর অনেক মুসল্লি মাস্ক পরিধান করেন। অনেক মসজিদের খাদেমকে মুসল্লিদের হাতে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে দিতেও দেখা গেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ১২ শর্তের একটি ছিল বয়ষ্ক, শিশু ও অসুস্থরা মসজিদে আসতে পারবেন না। তবে প্রায় সব মসজিদেই বৃদ্ধদের জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও শর্ত ছিল কোনো মসজিদে কার্পেট রাখা যাবে না। প্রতি ওয়াক্তের নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিরস্কার করতে হবে। এই শর্তও মানতে দেখা যায়নি। শর্ত না মেনে অনেকে বাসা থেকে অজু ছাড়া মসজিদে আসেন, সুন্নত নামাজ আাদায় করেন।