করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর শোচনীয় অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনুদান চেয়েছেন স্কুল মালিকরা।

বৃহষ্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করে মহাসচিব মো. রেজাউল হক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ৬৫ হাজার কিন্ডারগাটেন এবং সমমানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ কোটিরও বেশি শিশু শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছে।

এছাড়াও ১০ লক্ষাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও চতুথ শ্রেণির কমচারীর কর্মসস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশে প্রায় ৬৫ হাজার কিন্ডারগাটেন ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও চতুথ শ্রেণীর কমচারী কমরত আছে এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের পরিবারবর্গ। এ বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য ১৬ মার্চ হতে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অর্থনৈতিকভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এছাড়াও কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা লকডাউনের কারণে প্রাইভেট টিউশনও করতে পারছে না এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় না থাকায় বেতনও পাচ্ছে না। প্রায় ৯০% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত। মাসের প্রথমেই পরিশোধ করতে হয় বাড়িভাড়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কমচারীদের বেতন, অন্যান্য বিলসহ বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ ও পানির বিল। দীঘ দিন যাবত স্কুল বন্ধ থাকার কারনে প্রতিষ্ঠাতাগণ বাড়িভাড়া,শিক্ষক-কমচারীর বেতন কোন কিছুই পরিশোধ করতে পারেন নাই।

সারা দেশে হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রণোদনার প্রত্যাশায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা কর্মকতা বরাবর আবেদন করার কথা উল্লেখ করে রোজউল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন, কিন্ডারগাটেন ও সমমানের প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচাতে ঈদের পূর্বেই অনুগ্রহ করে প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। বর্তমানে এই মানবেতর অবস্থা উত্তরনে কিন্ডারগাটেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্যার্থে এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।

বাংলাদেশ কিন্ডারগাটেন ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইস্কান্দার আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান কায়েস, লায়ন এম এ রশিদ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরম্নল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।