ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এক ব্যক্তির মারা যাওয়ার খবরে গ্রাম থেকেই পালিয়ে যায় সেখানকার লোকজন। একদল স্বেচ্ছাসেবী ওই ব্যক্তির লাশ দাফনের জন্য গেলে কবর খোঁড়ার জন্য একটি কোদালও দিতে এগিয়ে আসেনি কেউ। জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন মারা যান। তাদের মধ্যে ঝিনাইদহে ওই ব্যক্তিসহ এক নারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক স্বাস্থ্যকর্মী ও বাগেরহাটে এক নারী রয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে করোনা উপসর্গে ৩৩১ জনের মৃত্যু হলো। সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ঘোপপাড়ার ওই ব্যক্তি (৪৫) ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। বুধবার জ্বর নিয়ে কাশিপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি আসেন। সেখানে গতকাল ভোরে তিনি মারা যান। সকালে তার লাশ দাফন করতে কালীগঞ্জে ইমামদের সাত সদস্যর একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম ওই গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, করোনা উপসর্গে মৃত্যুর খবরে গ্রামের সবাই পালিয়ে গেছে। কবর খুঁড়তে একটি কোদালের জন্যও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা মোবাইল ফোনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুকে বিষয়টি জানান। কিছুক্ষণ পর দূর থেকে এক ব্যক্তি ছোট্ট একটি কোদাল ছুড়ে ফেলেই দ্রুত চলে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবর্ণা রানী সাহা জানান, ওই ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল দুপুরে শৈলকূপা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এক নারী (৩২) মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার রাতে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্য সহকারী (৩৬) মারা গেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য ওই নারীসহ তার সংস্পর্শে আসা আরও ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এক নারী (৪৮)। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মনিশংকর পাইক বলেন, ওই নারী এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসেন। তার জ্বর ও গলাব্যথা ছিল।