- বাংলাদেশ
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা ও ঋণ প্রদানে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা ও ঋণ প্রদানে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

সুপার সাইক্লোন 'আম্পান'-এর প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট চাষী, খামারি ও উদ্যোক্তাদের জরুরিভিত্তিতে নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে 'আম্পান'-এর প্রভাবে মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীর ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতকরণে যাচাই-বাছাই চলছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তদুপরি 'আম্পান'-এর প্রভাবে এ খাত সংশ্লিষ্টরা আরও হতাশ হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাণিজ পুষ্টির যোগানদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়বে, যার প্রভাব গোটা জাতির ওপর পড়বে।
এ পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় 'আম্পান'-এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ খাতের চাষী, খামারি ও উদ্যোক্তাদের নগদ আর্থিক প্রণোদনাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী 'আম্পান'-এর প্রভাবে মৎস্যখাতে ক্ষতির পরিমাণ ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১ কোটি ০৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যখামারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৫০টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীর খামারের সংখ্যা ৫০ হাজার ১৩৮টি।
মন্তব্য করুন