আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহীর বানেশ্বরহাটে জমতে শুরু করেছে আমের হাট। উঠেছে গোপালভোগসহ নানা জাতের গুটি আম। ঈদের দু'দিন পর হাটে আমের দাম কম থাকলেও বাড়তে থাকে রোববার থেকে। রোববার গোপালভোগ আম বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকা মণ। তবে রাজশাহী শহরে তা ছিল ২৪শ' টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে গোপালভোগের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমনিতেই ঝড়ে গাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ আম ঝরে গেছে। ঈদের পর হাটে পাইকারি ক্রেতা না আসায় প্রতি মণ আমে ৬০০ টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছিল। ভালো মানের গোপালভোগ আম তারা বিক্রি করেন ১২শ' থেকে ১৩শ' টাকায়। তবে রোববার থেকে দাম বাড়তে থাকে। রোববার বানেশ্বরহাটে ভালো মানের গোপালভোগ ১৯শ' থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। রাজশাহী শহরের আড়তে একই আম প্রতি মণ ২৪শ' টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

রাজশাহীর সাহেববাজারের আম বিক্রেতা আয়নাল হক পিটার জানান, গোপালভোগ আমের দাম শুরুতে কম যাচ্ছিল। এতে চাষিরা আমের দাম ভালো পাবেন না বলে আশঙ্কা করছিলেন। তবে গত দু-একদিনে বাইরের অনেক ব্যবসায়ী আসছেন। তারা আম কিনছেন। গোপালভোগের উৎপাদন এমনিতেই কম। তাই দাম ভালো যাচ্ছে।

রাজশাহীর শিরোইল এলাকার আম ভান্ডার আড়তের মালিক মো. মিন্টু বলেন, 'গোপালভোগ ২৪শ' টাকা মণ আর হিমসাগর/ক্ষীরশাপাতি ১৮৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এবার আম কম। তাই হঠাৎ দাম বেড়েছে। হিমসাগরের দামও এবার বাড়তি। এবার আমের দাম ভালো থাকবে।'

বানেশ্বরহাটের আমের আড়তদার মাসুম খান জানান, ঈদের পর দাম ছিল খুবই হতাশাজনক। তবে দু'দিন ধরে দাম বাড়ছে। রোববার সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা মণ আম বিক্রি হয়েছে। আশা করছি, দাম আরও বাড়বে।

দুর্গাপুর থেকে বানেশ্বরহাটে আসা আম বিক্রেতা স্কুল শিক্ষক আব্দুল গফুর বলেন, 'এবার ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধেক আম গাছ থেকে ঝরে গেছে। দাম ভালো না গেলে সব চাষি ও ব্যবসায়ীকে লোকসান গুনতে হবে।