- বাংলাদেশ
- যাত্রীর সংকটে বিমান
যাত্রীর সংকটে বিমান

ফাইল ছবি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে চালু হয়েছে ফ্লাইট সার্ভিস। কিন্তু শুরুতেই যাত্রীসংকটে পড়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যাত্রীর অভাবে মঙ্গলবার বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল হয়। এরপর বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের সব ফ্লাইটও বাতিল করে বিমান কর্তৃপক্ষ। যাত্রীসংকটে দুটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের। তবে যাত্রীসংকটে পড়েনি বেসরকারি নভোএয়ার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার সমকালকে বলেন, বিমানের ফ্লাইট বাতিলের কারণ মূলত যাত্রীসংকট। যাত্রী না থাকার জন্যই একের পর এক ফ্লাইট বাতিল হয়। গত সোমবার অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরুর দিনই বিমানের ২টি ফ্লাইট বাতিল হয়। এরপর মঙ্গলবারের সব ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। যাত্রী না থাকায় বুধ ও বৃহ্স্পতিবারের ফ্লাইটও বাতিল করতে হয়েছে।
প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতিক্রমে সোমবার ঢাকা-সৈয়দপুর, ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচল শুরু করে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান এবং বেসরকারি নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিমান যাত্রীসংকটে পড়লেও নভোএয়ারের যাত্রীসংকট নেই। এ ব্যাপারে নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চলাচল করছেন যাত্রীরা। শুরুতে যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও এখন পর্যন্ত নভোএয়ারের কোন ফ্লাইট বাতিল হয়নি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ফ্লাইটে যাতায়াতের ঝুঁকি নিচ্ছেন না। তবে এভোএয়ারের ফ্লাইট নিয়মিতই চলছে।
অপরদিকে সিডিউল অনুযায়ী চলাচলের চেষ্টা করছে ইউএস বাংলার ফ্লাইট। যাত্রীসংকটে এই এয়ারলাইন্সটির মঙ্গলবারের দুটি ফ্লাইট বাতিল হয়। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম সমকালকে জানান, বুধবার তাদের কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি, শিডিউল মতোই সব চলাচল করেছে।
মন্তব্য করুন