করোনার কারণে পরিবেশে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ফলে সামনের দিনের বড় চ্যালেঞ্জ হবে স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানো।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার পরিবেশবাদীদের জোট প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চ আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলের মধ্যে মানুষের আয় ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। মধ্য আয়ের একটি বড় অংশের মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। প্রায় ৪৩ শতাংশ জনগণ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিকে জীবন ও জীবিকাকে মুখোমুখি করা হয়েছে। কিন্তু এই দুটি বিষয়কে মুখোমুখি না করে সমান্তরাল হিসেবে দেখতে হবে। জীবনকে না বাঁচালে জীবিকা হবে না। দুটিকেই আমরা কীভাবে দক্ষভাবে করতে পারি, তা খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে কৃষিভিত্তিক উন্নয়নকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে এগোতে হবে।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী তহবিল চাচ্ছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সবচেয়ে বড় অবলম্বন হচ্ছে সুন্দরবন। কিন্তু এই বন ধ্বংস করার মতো অনেকগুলো প্রকল্প সরকার অনুমোদন দিয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘করোনার সময়ে পরিবেশের কিছু উন্নতি হয়েছে। এই অভিজ্ঞতাকে আমলে নিয়ে আমাদের উন্নয়ন চিন্তাকে নতুনভাবে ভাবতে হবে। প্রকৃতিকে রক্ষা করে উন্নয়ন করতে হবে। আম্পানের আঘাত থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে এই শিক্ষা দিয়ে গেছে।

মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া, প্রফেসর বখতিয়ার আহমেদ, ড. মাহা মির্জা, এম জাকির হোসেন খান প্রমুখ।