- বাংলাদেশ
- লেনদেনের তথ্য ছিনতাইকারী চক্রের কাছে পৌঁছানো তার পেশা!
গাজীপুরে ৮০ লাখ টাকা ছিনতাই
লেনদেনের তথ্য ছিনতাইকারী চক্রের কাছে পৌঁছানো তার পেশা!

মাইক্রোবাস ভাংচুর করে টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, গাজীপুরসহ শিল্প এলাকায় এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে, তার কাজ হলো পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের কাছে পোশাক কারখানার লেনদেনের তথ্য গোপনে পৌঁছানো। কারখানার শ্রমিকদের বেতনের টাকা কারা কিভাবে কোন ব্যাংক থেকে নিয়ে আসছেন, কতজন থাকছেন, কত টাকা আনছেন, নিরাপত্তায় কী ত্রুটি রয়েছে- এসব খবর ছিনতাইকারীদের দিয়ে আসছেন তিনি। কখনো সাপ্লাইয়ার আবার কখনো বিভিন্ন পদে চাকরির আড়ালে মূলত ছিনতাইকারী দলের সদস্য হয়ে কাজ করছেন ওই ব্যক্তি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
৭ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গুলি করে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতনের ৮০ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার তদন্তে র্যাব ওই ব্যক্তির খোঁজ পায়। এ চক্রে আরও অন্তত ১০ জন রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে শনিবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, ছিনতাইকারীদের এই কৌশলের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব ছায়া তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। গাজীপুরের ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে বেশ অগ্রগতি রয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
র্যাবের সূত্র জানায়, ৮০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গার্মেন্টস কারখানায় বেশ কয়েকটি বেতনের টাকা ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ওইসব ঘটনায় দেখা গেছে, একজন তথ্যদাতা ছিলেন, যিনি ছদ্মবেশে গার্মেন্টস কারখানায় কর্মী, নিমার্ণ শ্রমিক, প্রহরী, সরবরাহকারীসহ নানা ছদ্মবেশে আসা যাওয়া করেন। কৌশলে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটকে সরবরাহ করেন তিনি।
সূত্রটি জানায়, এর আগেও চক্রটি একই ধরনের একাধিক অপরাধ করে। ছিনতাইকালে তারা একাধিক যানবাহন ব্যবহার করে, যাতে দ্রুত অপারেশন শেষে পালিয়ে যেতে পারে। এর আগে তারা ওই এলাকা রেকিও করে।
মন্তব্য করুন