বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে রোববার সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। এটির শেষ দেখা যাবে বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে।

বাংলাদেশে গ্রহণ শুরু হয় সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে। সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে দুপুর ১টা ১২ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে। ঢাকায় পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সূর্য পুরোপুরি ঢেকে যাবে না। রিংয়ের মতো দেখা যাবে। এটিকে বলা হয় 'রিং অব ফায়ার'।

বলয়গ্রাস প্রথম দেখা যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইম্পফেন্ডো শহরে। সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হয়। সেটি দেখা যাচ্ছে কঙ্গোর বোমা শহর থেকে। সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাবে ভারতের যোশীমঠ শহর থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হওয়া দেখা যাবে ফিলিপাইনের সামার শহর থেকে দুপুর ২টা ৩১ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হবে ফিলিপাইনের মিন্দানাও শহরে বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে।

ঢাকায় সূর্য ৭৩ ভাগ ঢেকে যাবে। ঢাকা থেকে উত্তর দিকে গেলে অর্থাৎ তেঁতুলিয়া থেকে ৮৫ ভাগ এবং চট্টগ্রামের দিকে গেলে ৬৫ ভাগের মতো গ্রহণ দেখা যাবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের জলবায়ু মহাশাখা জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণ ঢাকা বিভাগে বেলা ১১টা ২৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৫২ মিনিট ৩ সেকেন্ডে শেষ, ময়মনসিংহে ১১টা ২৩ মিনিট ২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৫১ মিনিট ২ সেকেন্ডে শেষ, চট্টগ্রামে ১১টা ২৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৫৫ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে শেষ, সিলেটে ১১টা ২৭ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৫৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে শেষ, খুলনায় ১১টা ২০ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৫০ মিনিট ৯ সেকেন্ডে শেষ, বরিশালে ১১টা ২৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৫২ মিনিট ১ সেকেন্ডে শেষ, রাজশাহীতে ১১টা ১৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৪৭ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে শেষ এবং রংপুরে বেলা ১১টা ১৭ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৪৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে শেষ হবে।

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, করোনার কারণে এবার জাদুঘরে কোনো পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। উপযুক্ত সোলার ফিল্টার বা ১৩ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস ব্যবহার করে এই গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যাবে।