গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্রমান্বয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ফুসফুসে সংক্রমণ থাকলেও তিনি আগের চেয়ে আরও স্বাভাবিক হয়েছেন। 

তিনি হাসপাতালে বসেই যথারীতি লেখালেখি করছেন। এরইমধ্যে তিনি হাসপাতালে বসেই ‘করোনা বনাম বিশ্ব পুঁজিবাদ: বাজেট ২০২০-২১’ শিরোনামে ১৪ পৃষ্ঠার একটি কলাম লিখেছেন।  

আগের চেয়ে মানসিকভাবে অনেক বেশী উজ্জীবিত, তবে এখন পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কথা বলছেন না। শুক্রবার বেশি কথা বলার কারণে তার গলার স্বর আবার কিছুটা বসে গেছে। 

রোববার সন্ধ্যায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সমকালকে এ তথ্য দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। তিনি জানান, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদ তার সার্বক্ষণিক চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে আছেন। তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালেই রাখা হবে। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত র‌্যাপিড কিটের পরীক্ষায় গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ফলাফল পজিটিভ আসে। টানা তিন সপ্তাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর পুনরায় পরীক্ষায় গত শনিবার রাতে তিনি করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়। 

এছাড়া ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পাশাপাশি তার স্ত্রী ও ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হন। তবে তারা বর্তমানে স্স্থু রয়েছেন বলেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।