- বাংলাদেশ
- দেশে ফেরার আকুতি ভিয়েতনামে নির্যাতিতদের
দেশে ফেরার আকুতি ভিয়েতনামে নির্যাতিতদের

ভালো চাকরির প্রলোভনে ভিয়েতনাম নিয়ে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে চান।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্রে পাওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৫ জন বাংলাদেশি তরুণ জমায়েত হয়ে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থা এই ভিডিও বার্তার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এতে দেখা গেছে, সুমন নামের এক তরুণ তার ওপর চালানো অত্যাচার নির্যাতনের ঘটনা বয়ান করছেন। সিলেটের এ তরুণ জানিয়েছেন, তিনি বছরখানেক আগে ভিয়েতনাম গিয়েছেন। সেখানে তিনি যত টাকা আয় করেছেন সব দালালরা কেড়ে নিয়েছে। দালালদের চাহিদা মেটাতে দেশ থেকে পাঁচবার টাকা নিয়েছে। জমি, গরু, বাছুর বিক্রি করে দালালদের টাকা দিয়েছেন।
ভিডিওচিত্রটি ধারণ করা তরুণ জানান, মঙ্গলবার তারা সুমনকে উদ্ধার করেছেন। সুমন জানান, তাকে গত সাতদিন ধরে পাঁচ বাংলাদেশি দালাল একটি ছাদের ওপর আটকে রেখেছিল। টাকার জন্য তাকে মারধর করা হয়। তার বুকে লাথি মারা হয়। সুমন তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখান। তিনি সাইফুল, আকরাম ও আতিকসহ তিন দালালের নাম জানান।
সুমনসহ জমায়েত হওয়া বাকি তরুণে দেশে ফেরার আকুতি জানান। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান যেন উদ্ধার করে দেশে আনা হয়। না হয় দালালরা তাদের মেরে ফেলতে পারে। এই তরুণরা জানান, তাদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিয়েতনাম আনা হলেও, আদতে সেখানে বৈধভাবে কাজের সুযোগ নেই।
সম্প্রতি ১১ তরুণ ভিয়েতনাম থেকে ফিরেছেন। যাদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দেশটিতে নিয়ে গিয়েছিল দালাল চক্র। আরো ২৭ বাংলাদেশি ভিয়েতনামে আটকে রয়েছেন। তারাও বৈধভাবে দেশটিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ প্রতিশ্রুত চাকরি পাননি।
পূর্ব এশিয়ার সমাজতান্ত্রিক দেশ ভিয়েতনামের শ্রমবাজার বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত না হলেও, গত দুই বছরে হাজারখানেক বাংলাদেশিকে সেখানে পাঠিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। তিন থেকে চার লাখ খরচ করে ভিয়েতনাম গিয়ে চাকরি না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে তিনটি এজেন্সি মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মন্তব্য করুন