বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা বেশ কিছুদিন ধরে কমের দিকে। অবশ্য এর পেছনে বড় কারণ হলো নমুনা পরীক্ষাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ের প্রথম ১৭ দিনে মহামারি এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৭০০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৮৭৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা শুক্রবার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানান, দেশে এখন করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৭ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জন।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জুনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে। জুন মাসে ১১৯৭ জন এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে ৯৮ হাজার ৩৩০ জনের শরীরে পাওয়া যায় করোনার অস্তিত্ব। জুনের চেয়ে জুলাইয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর শতকরা হার কিছুটা বেশি। সবচেয়ে কম শনাক্ত ও মৃত্যু ছিল মার্চ মাসে। ওই মাসে সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৫১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। মারা যায় পাঁচজন। এপ্রিলে মাত্র ৭ হাজার ৬১৬ জনের করোনা শনাক্ত হলেও মারা যান ১৬৩ জন। আর মে মাসে ৪৮২ জন প্রাণ হারায় এই ভাইরাসে। বিপরীতে ৩৯ হাজার ৪৮৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় । এখন পর্যন্ত শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি এপ্রিলে। খবর: ইউএনবি

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেই সাথে আরও ৩ হাজার ৩৪ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসে দেশে নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। মোট ২ হাজার ১১ জন পুরুষ করোনায় মারা গেছেন। অন্যদিকে নারী মারা গেছেন ৫৩৬ জন।

বয়সভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষ বেশি মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মোট ১১৪১ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন এই ভাইরাসে। অন্যদিকে ৫১-৬০ বছর বয়সী ৭৩৮ জন, ৪১-৫০ বছর বয়সী ৩৬৬ জন, ৩১-৪০ বছর বয়সী ১৭৯ জন, ২১-৩০ বছর বয়সী ৭৭ জন, ১১-২০ বছর বয়সী ২৯ জন এবং ০-১০ বছর বয়সী ১৭ জন মারা গেছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।