- বাংলাদেশ
- দুদককে রিজেন্টের নথিপত্র দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর
দুদককে রিজেন্টের নথিপত্র দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর

প্রতীকী ছবি
অবশেষে করোনা চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তিপত্রের কপিসহ অন্যান্য নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমবার অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সংস্থার গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল স্বশরীরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে নথিপত্রগুলো জমা দেন।
সোমবার দুদকে গিয়ে জানা গেছে, কমিশনের উপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. আবুবকর সিদ্দিক তাদের কাছ থেকে নথিপত্রগুলো গ্রহণ করেছেন।
নথিপত্র জমা দিয়ে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে ডা. দিদারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে দুদক লিখিতভাবে যেসব তথ্য, নথিপত্র চেয়েছিল সেগুলো তারা জমা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এরপরও দুদক যে কোন তথ্য, বা নথি চাইলে তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে চাওয়া নথিপত্রগুলো পাওয়া গেছে। এখন সেগুলো যাচাই করে দেখা হবে। এ নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, দুর্নীতির তথ্য, প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সূত্র জানায়, গত ১৪ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো দুদক উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে অতি জরুরি ভিত্তিতে করোনা চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে অধিদফতরের চুক্তির কপি, রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন সংক্রান্ত কপি, করোনা নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত, রিজেন্ট হাসপাতালকে দেওয়া বিল-ভাউচারের কপিসহ অন্যান্য তথ্য চাওয়া হয়েছিল। চিঠি পাঠানোর চার দিনেও ওইসব তথ্য সরবরাহ না করায় রোববার উপপরিচালক আকবুবকর সিদ্দিক ওইসব তথ্যের জন্য তাগিদ দিকে ঢাকার মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতরে যান। ওই সময় তিনি অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরের দিন সোমবার নথিপত্রগুলো সরবরাহ করা হবে বলে মহাপরিচালক প্রতিশ্রুতি দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিত্রে সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে নথিগুলো জমা দিলেন।
দুদক উপপরিচালক আবুবকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ, বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাত, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
জানা গেছে, রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।
মন্তব্য করুন