- বাংলাদেশ
- 'মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ডাকটিকিট বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রকাশে ভূমিকা রেখেছে'
'মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ডাকটিকিট বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রকাশে ভূমিকা রেখেছে'

ফাইল ছবি
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুজিবনগর সরকার প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব প্রকাশে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। একাত্তরের ২৯ জুলাই মুজিবনগর সরকার এবং যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স থেকে প্রকাশিত ৮টি স্মারক ডাকটিকিট বিশ্বে আমাদের জাতিস্বত্ত্বা, রাষ্ট্রস্বত্ত্বা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এই দিবসটি কেবল ডাক অধিদপ্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দিবসটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের যৌক্তিকতা আছে।
তিনি বলেন, স্মারক এই ডাকাটিকিটসমূহ কেবলই ইতিহাসের ধারক ও স্মারক নয়। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তুলে ধরা হয়েছে যা সারা দুনিয়ায় আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে।
মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে ২৯ জুলাই স্মারক ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও এই উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা সমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
একাত্তরের সম্মুখ রণাঙ্গনের তরুণ যোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা কেবল অস্ত্র দিয়েই যুদ্ধ করিনি। সংস্কৃতি কর্মী, খেলোয়াড়, সাধারণ জনগণ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমেও আমাদের যুদ্ধটা হয়েছে। ডাক টিকিটও সেই লঢ়াই এর অংশীদার। নয় মাসের যুদ্ধে দেশের জনগণ আমাদের সাথে একাত্ম হয়ে যুদ্ধ না করলে, খাবার এবং আশ্রয় না দিলে টিকে থাকা আমাদের জন্য কষ্ট হতো। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের সময়টি ছিলো পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধের। তিনি ঐতিহাসিক স্মারক ডাকটিকিটের নকশাকার বিমান মল্লিকের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, এই ভারতীয় শিল্পীকে তার ভূমিকার জন্য যথার্থ সম্মান আমাদের করতে হবে। তিনিও আমাদের যুদ্ধের সাথী। মন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে ডাক অধিদপ্তরসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের ভূমিকার প্রশংসা করেন ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক। জনগণ স্বপ্ল দেখে আমাদের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে। তিনি করোনা কালে ডাকঘর খোলা রাখা, চিকিৎসা সামগ্রী বিণামূল্যে পরিবহন করা, কৃষকের সব্জি ও ফল বিণামূল্যে পরিবহন করা, ত্রাণ বিতরণ করা তথা জনগণের পাশে থাকার জন্য ডাক বিভাগকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। তিনি ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইনেন্সিয়াল সেবার অসাধারণ সফলতায় সংশ্লিষ্টদেরকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আমাদের মালিক জনগণ তাই আমাদের দায়িত্ব জনগণের স্বপ্ল পূরণে কাজ করা।
পরে মন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন