- বাংলাদেশ
- গ্রেফতারের ২২ দিনেই জামিন পেলেন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক
গ্রেফতারের ২২ দিনেই জামিন পেলেন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক

মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ -ফাইল ছবি
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসেন চৌধুরীর ভার্চুয়াল আদালত বুধবার শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন। এই মামলায় গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ছোয়াদই প্রথম জামিন পেলেন।
এতবড় নৌ দুর্ঘটনার পর মাত্র ২২ দিনের মাথায় আসামি জামিন পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেক আইনজীবী। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি ও আইনজীবী সুলতান নাসের।
গত ১৫ জুলাই ঢাকার বিচারিক হাকিম আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন ছোয়াদ, কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়েছিল। ওই আদেশের বিরুদ্ধে জজ আদালতে যান আসামি ছোয়াদ। বুধবার এই আবেদনের ওপর ভার্চুয়াল শুনানি হয়। আদালতে জামিন প্রার্থনা করে শুনানিতে ছোয়াদের আইনজীবীরা বলেন, দুর্ঘটনার সময় ছোয়াদ লঞ্চে ছিলেন না। তারপরও গ্রেফতারের পর ৯ জুলাই থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এ মামলার সবগুলো ধারাই জামিনযোগ্য। সামনে ঈদ তিনি জামিন পাওয়ার হকদার।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, লঞ্চের মালিক হিসেবে তিনি এই দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। সুতরাং তার জামিন নাকচ করা হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আদেশ দেন।
গত ৮ জুলাই গভীর রাতে রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে হানিফ ছোয়াদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
গত ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর দিন রাতে নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও সুকানি নাসির মৃধা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে আছেন। লঞ্চের সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, ইঞ্জিন চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং গ্রিজার হৃদয় কারাগারে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন