রাজধানীতে ৫ দিনব্যাপী আইকাও-ডিজিসি সম্মেলন শুরু রোববার

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:৪৫ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:৪৫
রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের (ডিজিসিএ) সম্মেলন। পাঁচদিনব্যাপী এ সম্মেলন আগামী রোববার থেকে (১৫-১৯ অক্টোবর) শুরু হচ্ছে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে।
মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, আইকাও-এপেকের ৫৮তম এই সম্মেলনে প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৫০০ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নেবেন। পাঁচদিনের এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বেবিচক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
বেবিচক জানায়, পাঁচ দিনের এ আসরটি বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে। আইকাও-এর ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভার পর এটিই আঞ্চলিক পর্যায়ে সবচেয়ে বড় আয়োজন। এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল।
বেবিচক জানায়, সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মহাপরিচালকরা অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া আইকাও-এর সভাপতি সালভাতোর সাকিতানো, মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার, আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, সৌদি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রিশন ও ট্রান্সপোর্ট অথরিটির ২০ জন সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করবেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইকাও সদস্য পদ লাভ করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সূচনালগ্নে জাতির পিতা বুঝতে পেরেছিলেন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশ পথে যোগাযোগ ছাড়া সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নপূরণ হবে না। তিনি বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাব হিসাবে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।
সম্মেলনে এভিয়েশন খাতে এভিয়েশন সেফটি, এয়ার নেভিগেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি, ফেসিলিটেশন, এয়ার ট্রান্সপোর্ট সমূহের উন্নয়ন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রায়োগিক দিক ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে এবং সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে।