গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে নিরাপত্তা প্রহরী শেখ মোজাহিদুর রহমান, লিয়াকত হোসেন, সুলতান ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আকমান হোসেন, হাবিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মুকিত শেখ, নয়ন দাড়িয়া, মাহবুব আল হাসান, এমরান হোসেন, নাসির উদ্দিন মোল্লা, রবিউল ইসলাম, শাহ আলম, আকরাম আলী শেখ, মানস কুমার শিরালী, এমারত পাটোয়ারী, নিয়ামুল ইসলাম এবং রাজু আহমেদকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‌‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ-উল-আজহার ছুটিকালীন এবং পূর্বাপর সময়ে সকল নিরাপত্তা প্রহরীর নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের সূচি থাকলেও নিরাপত্তা প্রহরীদের অনেকেই অনুনোমোদিতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন, যা চাকরিবিধি পরিপন্থী, দায়িত্বে অবহেলার সামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

জানা যায়, ঈদ-উল-আজহার ছুটিকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রহরীরা স্ব-স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে হয়তো এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটত না।’

এ ছাড়া নোটিশে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আগত ব্যক্তিদের সাথে অনেকেই সঠিক আচরণ করেন না। সুতরাং চাকরিবিধি পরিপন্থী কাজ এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তা তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূর উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে সোমবার গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ড. নূর উদ্দিন বলেন, কম্পিউটার চুরির ঘটনায় ১৯ নিরাপত্তা কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। তাদের আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।