অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম আসামি সম্রাটের ডিওএইচএস ও কাকরাইলের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশনা   চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ওই ফ্ল্যাট দুটি ক্রোকের আদেশ দেন। এর আগে সম্রাটের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ নভেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকালে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী তার নামে থাকা মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকার ১ হাজার ৩১৭ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও মোস্তফা জামানের নামে কাকরাইলে ৪ হাজার ২৫৯ বর্গফুটের স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।

গত বছর ১২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। গত ১৭ নভেম্বরে এ মামলায় সম্রাটকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

সম্রাট ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি। ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো-কাণ্ড ঘটনার পর ৭ অগাস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।