বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খানকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাকে শেষ বিদায় জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাহাত খানের মরদেহ তার শেষ কর্মস্থল তেজগাঁওয়ে প্রতিদিনের সংবাদ কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে আরেক দফা জানাজার পর তাকে দাফন করা হয়। রাহাত খান গত শুক্রবার মারা যান।

শনিবার তার মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হলে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে প্রয়াত এই সাংবাদিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী ও রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান।

সেখানে জানাজায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভুঁইয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকারিয়া কাজল, বর্তমান মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ। এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহাসহ অনেকে নীরবে দাঁড়িয়ে প্রয়াত সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে রাহাত খানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রয়াত সাংবাদিকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেসক্লাব, জাতীয় প্রেসক্লাব কর্মচারী ইউনিয়ন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় রাহাত খানের কফিনে।

এদিকে রাহাত খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হরুন-অর-রশিদ প্রমুখ। পৃথক শোকবার্তায় তারা প্রয়াত রাহাত খানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ ছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন পাবনা প্রেসক্লাব ও পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ।