আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে দেশের যে অগ্রগতি, এর ভিত্তি স্থাপন করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কৃষি ও কৃষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে দরদ ছিল, তা চিন্তাও করা যায় না। তার মতো নেতা পৃথিবীতে আর আসবে না।

শনিবার এক অনলাইন সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি' শিরোনামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে, আটলান্টিক-প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা মাপতে পারবেন, কিন্তু বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার গভীরতা মাপতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলার মানুষ ও মাটির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা, সফলা, শস্য-শ্যামল বাংলায় রূপান্তর করব।' এখন সেই পথেই এগোচ্ছে দেশ।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপির শাসনামলে মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে। তা এখন দুই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। এর পেছনে কৃষি খাতের বড় অবদান রয়েছে। কৃষিতে সরকারের প্রণোদনা এবং ভর্তুকি দেওয়ায় এসেছে নানা সাফল্য। বিশেষ করে সারের মূল্য ৮২ থেকে ১৬ টাকায় নামানো পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৈশোর-তরুণ বয়স থেকে বাংলার কৃষকের দৈন্যদশা স্বচক্ষে দেখেছেন, যা বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে গভীরভাবে রেখাপাত করে। তার রাজনৈতিক জীবনজুড়ে কৃষক ও কৃষির উন্নয়ন ও কল্যাণ ভাবনা নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। বাংলার দুখী মানুষ কৃষক-শ্রমিকের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম।

সভায় বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও লেখক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, সাবেক সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার প্রমুখ।