প্রবীণ রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাংবাদিক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির (পিডিপি) চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সোমবার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে ফেনীর দাগনভূঞায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।

ষাটের দশকে অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন। বাষট্টির ছয় দফা আন্দোলন ও ১১ দফাভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তাঞ্চল থেকে তার সম্পাদনায় মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র হিসেবে 'দেশবাংলা' পত্রিকা বের করা হয়।

১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠিত হওয়ার পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী এ দলের প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ১/১১ সেনাসমর্থিত সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) গঠন করেন। ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে দলের নিবন্ধন পান।

ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসিন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাংবাদিক আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদের সভাপতি রেহানা সালাম, সাধারণ সম্পাদক লোটন একরাম প্রমুখ।

বিষয় : ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী

মন্তব্য করুন