মুজিববর্ষেই যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি কানাডায় পলাতক অপর এক খুনীকেও ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। 

'দেশবাসী বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর দেখতে চায়' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জনতার প্রত্যাশা নামে একটি সংগঠন। এ সভায় আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার, কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছিল খুনি রাশেদ চৌধুরী। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, মুজিব বর্ষেই দেশে ফিরিয়ে এনে রাশেদ চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, আর এক খুনীর কানাডায় পালিয়ে থাকার তথ্য রয়েছে। তাকেও ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা চলছে। বাকি তিন জনের ভাসাভাসা তথ্য রয়েছে। যার সম্পর্কে যতটুকু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবেই বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে। কোন খুনীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

পরে সাংবাদিকদের করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণের জন্য যেটা মঙ্গলজনক সেটাই সরকার করবে।