মুজিববর্ষেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের মানুষ সঙ্গে আছে বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আমরা শাস্তি দিতে পেরেছি। বিদেশে পলাতক বাকি খুনিদের এই মুজিববর্ষেই ফিরিয়ে দেশে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'জনতার প্রত্যাশা' আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র, স্বরাস্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারিভাবে এসব প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতাও লাগবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারের কাছে দেওয়া গেলে খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার পথ আরও সুগম হবে। দেশবাসী ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের প্রতি সিগনেচার ক্যাম্পেইন তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষকে বাঁচাতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন যেখান থেকে পাওয়া যায় সেখান থেকে আনতে। আর সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে রাখছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে পূরণ করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। সভায় বিএনপির উদ্দেশ্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লাভ হবে না। সামনে উপনির্বাচনগুলোতে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আর সরকার পরিবর্তন চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। অথচ দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে বিশেষ ক্ষমতাবলে জামিন দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার। মানবতার মা শেখ হাসিনার কারণেই খালেদা জিয়ার জামিনের সময়সীমা দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ানো হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নুরুল আমিন রুহুল এমপি, হাবিবুর রহমান খান, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাদেক খান, আকরাম হোসেন, মশিউর রহমান, রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।