বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বিএসএফ প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানাসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছায়।

দুপুরে বিএসএফের প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া আইসিপি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বিজিবির উত্তর-পূর্ব রিজিয়ন কমান্ডার, কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা), পরিচালক অপারেশন (সরাইল রিজিয়ন), অধিনায়ক সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি), অধিনায়ক সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এবং সংশ্নিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সড়কপথে প্রতিনিধি দল সুলতানপুর ব্যাটালিয়নে আসে। পরে তারা সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন থেকে বিজিবির হেলিকপ্টারে করে ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে নামেন। তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানাকে অভ্যর্থনা জানান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। এ সময় বিএসএফ মহাপরিচালককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক বৃহস্পতিবার বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় শুরু হবে। এবারের সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্নিষ্ট স্টাফ, অফিসার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের ভারতের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবেন।

সম্মেলনের শেষ দিনে ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষর হবে। ওই দিনই বিএসএফ প্রতিনিধি দল ঢাকা ত্যাগ করবে। ১৩ সেপ্টেম্বর এ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ভারতীয় প্রতিনিধি দলটির জন্য নির্ধারিত বিমানটি উড্ডয়নের আগে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় দলটি ঢাকায় আসতে পারেনি।