- বাংলাদেশ
- ‘ভুল আসামি’ জাহালমকে ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর
‘ভুল আসামি’ জাহালমকে ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর

জাহালম - ফাইল ছবি
‘ভুল আসামি’ হয়ে ২৬ মামলায় প্রায় ৩ বছর কারাগারে থাকা পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে রায় ২৯ সেপ্টেম্বর।
হাইকোর্টের কার্যতালিকায় প্রকাশিত তথ্যে রায়ের জন্য ধার্য তারিখটি জানা যায়। মামলাটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে ২৯ সেপ্টেম্বরের কার্যতালিকায় রায়ের জন্য ১ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে কজলিস্ট দেখলাম। মামলাটি রায়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর এক নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে।’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি যে কোনো দিন রায় ( সিএভি) ঘোষণার জন্য রাখা হয়। খবর বাসসের
শুনানিতে আদালতে জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুভাষ চন্দ্র দাস। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লোকটির বয়স ৩০-৩২ বছরের বেশি না। পরনে লুঙ্গি আর শার্ট। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বিচারকের উদ্দেশে তাকে বারবার বলতে দেখা যায়, ‘স্যার, আমি জাহালম। আমি আবু সালেক না, আমি নির্দোষ।
আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা হয়। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খেটেছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। যিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। যে ঘটনার তদন্ত করে দুদক বলছে, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি গত বছরের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্র্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। এরপর হাইকোর্ট জাহালমকে ওই দিনই মুক্তির নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে রুলও জারি করেন আদালত । হাইকোর্টের আদেশের পর কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম।
মন্তব্য করুন