- বাংলাদেশ
- ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ
২৩৪ পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা
মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগের বিধান নেই

নির্ধারিত সময়ে দেশের ২৩৪ পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সরকারের নীতি-নির্ধারকরাও বলছেন, আগামী শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসার বা প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলছেন, কমিশনের তরফে নির্ধারিত সময়ে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ পাওয়া গেছে। পৌরসভার মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগের বিধান আইনে স্পষ্ট নেই। তাই কোনো কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে বর্তমান মেয়ররা দায়িত্ব পালন করবেন নাকি অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২৩৪ পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পৌরসভা আইনানুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট আয়োজনের বিধান রয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোতে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল বাতিল হওয়ার পর সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।
কিন্তু পৌরসভা আইনে এমন কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। শুধু নতুন পৌরসভা গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাচন না হওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। নির্বাচনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বর্তমান পৌর মেয়র দায়িত্ব পালন করবেন কিনা তাও আইনে উল্লেখ করা হয়নি।
গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের এক সভায় নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ইসি সচিবালয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ইসির পক্ষ থেকে সারাদেশের নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনানুযায়ী মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ও কাউন্সিলর এবং নারী কাউন্সিলর পদে স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোট হবে।
এদিকে গত এপ্রিলে নির্ধারিত এইচএসসি পরীক্ষাও লকডাউনের (সাধারণ ছুটির) কারণে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি বিবেচনায় নিয়ে পৌর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। এখন সরকার আগে এইচএসসি পরীক্ষা নেবে নাকি নির্বাচন শেষ করবে- সেটিও স্থানীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও মতামত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এরই মধ্যে আগামী শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার শঙ্কাও রয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নানামুখী অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গতকাল বুধবার রাতে সমকালকে বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি। যেসব বক্তব্য আসছে তা বেশিরভাগই ধারণা থেকে। তবে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তার ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচিও নিশ্চিত হতে হবে। তারপর নির্বাচনের সময়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির জন্য আগেভাগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট হয়েছিল। নির্বাচনের পর বেশির ভাগ মেয়র ও কাউন্সিলর ২০১৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে শপথ নেন। আর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এসব পৌর পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইনানুযায়ী, পৌরসভার মেয়াদ হচ্ছে পরিষদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই সব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে আড়াই শতাধিক পৌরসভায় ভোট করতে হবে।
এদিকে নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পৌরসভাগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছে ইসি সচিবালয়। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌরসভাগুলোর বর্তমান পরিষদের মেয়াদ, নির্বাচন আয়োজনে জটিলতা আছে কিনা- এসব তথ্য জানতে চিঠি দিয়েছে ইসি।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এর আগে এক দিনে ২৩৪ পৌরসভায় ভোট নেওয়া হয়। এবারও এক দিনে ভোট নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশিরভাগ পৌরসভার ভোটে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলছেন, কমিশনের তরফে নির্ধারিত সময়ে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ পাওয়া গেছে। পৌরসভার মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগের বিধান আইনে স্পষ্ট নেই। তাই কোনো কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে বর্তমান মেয়ররা দায়িত্ব পালন করবেন নাকি অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২৩৪ পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পৌরসভা আইনানুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট আয়োজনের বিধান রয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোতে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল বাতিল হওয়ার পর সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।
কিন্তু পৌরসভা আইনে এমন কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। শুধু নতুন পৌরসভা গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাচন না হওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। নির্বাচনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বর্তমান পৌর মেয়র দায়িত্ব পালন করবেন কিনা তাও আইনে উল্লেখ করা হয়নি।
গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের এক সভায় নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ইসি সচিবালয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ইসির পক্ষ থেকে সারাদেশের নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনানুযায়ী মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ও কাউন্সিলর এবং নারী কাউন্সিলর পদে স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোট হবে।
এদিকে গত এপ্রিলে নির্ধারিত এইচএসসি পরীক্ষাও লকডাউনের (সাধারণ ছুটির) কারণে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি বিবেচনায় নিয়ে পৌর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। এখন সরকার আগে এইচএসসি পরীক্ষা নেবে নাকি নির্বাচন শেষ করবে- সেটিও স্থানীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও মতামত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এরই মধ্যে আগামী শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার শঙ্কাও রয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নানামুখী অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গতকাল বুধবার রাতে সমকালকে বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি। যেসব বক্তব্য আসছে তা বেশিরভাগই ধারণা থেকে। তবে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তার ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচিও নিশ্চিত হতে হবে। তারপর নির্বাচনের সময়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির জন্য আগেভাগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট হয়েছিল। নির্বাচনের পর বেশির ভাগ মেয়র ও কাউন্সিলর ২০১৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে শপথ নেন। আর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এসব পৌর পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইনানুযায়ী, পৌরসভার মেয়াদ হচ্ছে পরিষদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই সব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে আড়াই শতাধিক পৌরসভায় ভোট করতে হবে।
এদিকে নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পৌরসভাগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছে ইসি সচিবালয়। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌরসভাগুলোর বর্তমান পরিষদের মেয়াদ, নির্বাচন আয়োজনে জটিলতা আছে কিনা- এসব তথ্য জানতে চিঠি দিয়েছে ইসি।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এর আগে এক দিনে ২৩৪ পৌরসভায় ভোট নেওয়া হয়। এবারও এক দিনে ভোট নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশিরভাগ পৌরসভার ভোটে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিষয় : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ
মন্তব্য করুন