- বাংলাদেশ
- নুরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে সেই ঢাবি ছাত্রী
নুরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে সেই ঢাবি ছাত্রী

ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেত্রীরাও তার সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়েছেন -সমকাল
অবিলম্বে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপরাধী ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে বসেছেন সদ্য সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক হাসান আল মামুনদের বিরুদ্ধে মামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অনশন শুরু করেন তিনি। এসময় একাত্মতা জানিয়ে তার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের অন্তত ২২ জন নেত্রী।
জানা গেছে, রাত আটটার দিকে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন ওই ছাত্রী। পরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের ২২ নেত্রীও তার সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সদ্য সাবেক ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ফারজানা নিপা, কুয়েত-মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জেরিন তাসনীম পূর্ণিসহ অন্যান্য নেতারা।
সেই শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে ধর্ষণ একটা মহামারি আকার ধারণ করেছে। আমিও এর ভুক্তভোগী। এর আগে লালবাগ, কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমার এই আমরণ অনশন কর্মসূচি।
অনশনে একাত্মতা জানিয়ে তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। সে অনশন করছে। তাই তাকে সাহস যোগানোর জন্য, তার দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আমরা তার পাশে এসে বসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা তার পাশে থাকবো।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী। এতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরদিন একই বাদি কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তবে ১৭ দিন পার হলেও এসব মামলায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় অনশনে বসেছেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে নুরকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কেটে দেন।
মন্তব্য করুন