খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন একজন ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক নেতা। তার মৃত্যুতে দেশ একজন ত্যাগী, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। জাতীয় চার নেতার অন্যতম ছিলেন তার পিতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। যিনি আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর পাশে ছায়ার মতো ছিলেন। তেমনিভাবে মোহাম্মদ নাসিমও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে শেখ হাসিনার পাশে সার্বক্ষণিক ছায়ার মতো ছিলেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী নেতা। তার কর্মকাণ্ড, তার জীবন আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সবসময়ই স্মরণ করবে। তার কর্মকাণ্ড অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু একাডেমির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাতীয় সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে স্বরণ সভা'য় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় দেশের কয়েকটি স্থানে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এমন কর্মকাণ্ড কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সরকার এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছে এবং প্রয়োজনে আরো কঠোর অবস্থানে যাবে। ইতোমধ্যেই ঘটে যাওয়া প্রতিটি জায়গায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং যারা ধরা পড়েনি তাদেরও অচিরেই গ্রেপ্তার করা হবে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে ধর্ষণ, হত্যা, লুটতরাজ একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছিল। তখন অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। কারও বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার এ ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে কখনো প্রশ্রয় দেবে না। ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেক হাইব্রিড নেতা কর্মী অনুপ্রবেশ করেছেন। যারা ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। এখন সময় হয়েছে এগুলো খুঁজে বের করার।

তিনি ধর্ষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের সম্মান দেওয়ার বিষয়ে আরো সতর্ক হতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রতিটি পিতা মাতাই যেন পরিবার থেকেই তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে লালন পালন করেন এবং তার সন্তান যেন নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেয়। সন্তান বাহিরে কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে এসব ব্যাপারেও যেন তারা খোঁজ খবর রাখেন।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কী পেলাম, কী পেলাম না, সেসব হিসাব না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তিনি মোহাম্মদ নাসিমকে একজন ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, শেখ ইকবাল খোকন, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ প্রমুখ।