জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেছেন, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ ও অর্থায়ন অপরিহার্য।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৫তম সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির আওতায় দারিদ্র্য-বিমোচন বিষয়ক ভার্চুয়াল এক সভায় মঙ্গলবার তিনি একথা বলেন। বুধবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বাসসের

রাবাব ফাতিমা বলেন, বিশ্বের সকল স্থান থেকে সব ধরনের দারিদ্র্য দূরীভূত করাই এজেন্ডা-২০৩০ এর সর্বোচ্চ লক্ষ্য। আর এজেন্ডা ২০৩০ অর্জন বা দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ ও অর্থায়ন অপরিহার্য।

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে চলমান করোনা মহামারির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ‘জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই)’ চালু করেছে মর্মে উল্লেখ করেন তিনি।

কোভিড-১৯ মহামারি দারিদ্র্য বিমোচনের গতিকে থামিযে দিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা এ বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।

সুপারিশমালায় তিনি কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে পুনরায় বাংলাদেশকে আগের ভালো অবস্থায় ফিরে যেতে রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বেসরকারি খাতের অর্থায়নের উৎসসমূহকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহবান জানান।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে সম্ভাব্য যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে তা উল্লেখ করে রাবাব ফাতিমা বর্তমানে বিদ্যমান বিশেষ ও আলাদা সুবিধা এবং বিশেষ সহায়তা বর্ধিত একটি সময় পর্যন্ত বজায় রাখার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বিভাজন নির্মূলে অবশ্যই উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উৎপাদনশীল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে করোনা মহামারি ও জলবায়ু সঙ্কটের মতো দ্বৈত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশের এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জাতীয় প্রচেষ্টায় সমর্থন জোগাতে আরও বাড়তি অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রবাসী কর্মীগণ যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তার উদাহরণ টেনে রেমিট্যান্সের প্রবাহ হ্রাস ও অভিবাসী কর্মীদের প্রত্যাবর্তনের মতো নেতিবাচক বিষয়গুলো সমাধান করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।