যক্ষ্মা নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য দরকার অঙ্গীকার, সংকল্প এবং সংহতি। আসুন আমরা সবাই মিলে যক্ষ্মা নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।

বুধবার রাজধানীর পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে (এল ডি হল) যক্ষ্মা নির্মূলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নারী মৈত্রী আয়োজিত ‘বিল্ডিং টিবি নেটওয়ার্কিং’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার যক্ষ্মা নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। গত এক দশকে লাখে মৃত্যু কমে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করতে হবে, যেন মানুষ বিচ্ছিন্নতার ভয়ে চিকিৎসা নেওয়া বন্ধ না করে। পাশাপাশি সব সংসদ সদস্যদের নিজ জেলা, উপজেলা পরিদর্শন করতে হবে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি জরুরি বিনামূল্যে যক্ষ্মা চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের’ বিষয়টি বিপুলসংখ্যক মানুষকে নেটওয়ার্কিং কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া।

সভায় জানানো হয়, বিশ্বে যত যক্ষ্মা রোগী আছে তার মধ্যে আট দেশেই রয়েছে দুই-তৃতীয়াংশ। এসব দেশ হলো, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া। বাংলাদেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ। উন্নত ও বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও জনসচেতনতার অভাব ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে ব্যাপক সংখ্যক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এই সংখ্যা বর্তমানে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯১৯।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সংসদ সদস্য শেরীফা কাদের, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) উপপরিচালক ও প্রোগ্রাম পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান, ব্র্যাকের সিনিয়র ডিরেক্টর মো.আকরামুল ইসলাম প্রমুখ।