স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ

বরগুনার আমতলীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশু। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার ধামরাইয়ে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

বরগুনার আমতলী উপজেলায় দুই বন্ধু মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পর মেয়েটির নগ্ন ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ধর্ষকরা। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মঙ্গলবার আমতলী থানায় মামলা করেছেন মেয়েটি মা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ূয়া মেয়েটির সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে মহিষডাঙ্গা গ্রামের বারেক মৃধার ছেলে ট্রাকের হেলপার মেহেদী। গত শনিবার বিকেলে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে বন্ধু রাসেলকে নিয়ে আমতলী পৌর শহরের বাঁধঘাট চৌরাস্তার সকাল সন্ধ্যা হোটেলে আসে মেহেদী। সেখান থেকে মেহেদী তার ভাবীকে দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে হোটেলের সামনে সোলায়মান নামে এক ব্যক্তির বাসায় নিয়ে যায়। পরে দুই বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করে ও নগ্ন ছবি তোলে। সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সোমবার মেয়েটিকে ফের দেখা করার প্রস্তাব দেয় তারা।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শাওন গৌড় নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায়, মঙ্গলবার শিশুটিকে বাসায় রেখে কাজে যান তার মা। এ সুযোগে দোকান কর্মচারী শাওন তাকে ধর্ষণ করে। বুধবার শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেন।

ঢাকার ধামরাইয়ে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের সন্ধিতারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ওই গৃহবধূ ধামরাইয়ের সন্ধিতারা গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক তাকে ধর্ষণ করে।

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে মঙ্গলবার রাতে পৌর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।