মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন প্রকার শৈথিল্য প্রদর্শন ও অনিয়ম না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং খুলনা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খুলনা বিভাগের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরসমূহে কর্মরত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন শৈথিল্য, অনিয়ম ও দুর্নীতি নয়। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে কোন ধরনের অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সরকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। তাই রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন কাজ অসম্পূর্ণভাবে করা যাবে না। অর্পিত দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে হবে। এগুলোর ঘাটতি পরিহার করতে হবে। কোন কাজ অসম্পূর্ণভাবে করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজে আরো সৃজনশীলতা ও নতুনত্ব চাই। গঠনমূলক কাজ চাই। করোনা সংকটে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সার্ভিস আশা করি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বিপ্লব সৃষ্টি করার সুযোগ রয়েছে। তার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা সম্ভব। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

সভায় করোনাকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট উৎপাদক, খামারি, উদ্যোক্তা ও উপকারভোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করায় কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।