- বাংলাদেশ
- খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সজীব রাখতে হবে মাটি
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের সেমিনারে বক্তারা
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সজীব রাখতে হবে মাটি

মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার ওপর। শিল্পায়ন, নগরায়ন, বাড়ি-ঘর নির্মাণ, রাস্তাঘাট তৈরিসহ নানা কারণে চাষের জমি কমছে। এই দুই চ্যালেঞ্জের সাথে যুক্ত হয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তন। এসব বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা ও শস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। সেজন্য মাটিকে সজীব রাখতে হবে, মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে হবে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে সেমিনার, প্রদর্শনী এবং সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), সয়েল সায়েন্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং প্র্যাকটিকাল অ্যাকশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় কৃৃষি মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মে যুক্ত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন এফএও'র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শুধু কৃষি নয়, মাছ, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রির খাদ্যও মাটি থেকে আসে। সেজন্যও মাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে যেয়ে শস্যের নিবিড়তা বাড়ছে কিন্তু মাটির উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। টেকসই মাটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাটির উৎপাদনশীলতা, মাটিতে গাছের অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানের মান বজায় রাখতে হবে।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী 'সয়েল মিউজিয়াম সফটওয়্যার' উদ্বোধন ও 'ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ' বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে 'সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০' বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এবার সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান কৃষকপর্যায়ে আমচাষি মো. মতিউর রহমান, শিক্ষাবিদ হিসাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. জেড. করিম।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মাটির উর্বরতা রক্ষা ও প্রয়োজন উপযোগী ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষণায় প্রাধান্য দিতে হবে। শুধু কৃত্রিম সার ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করলে হবে না।
মন্তব্য করুন