- বাংলাদেশ
- ইবিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
ইবিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

ছবি: সমকাল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দু’গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’য় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানোর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয় দিবস উদযাপনের কর্মসূচি শুরু করেন উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্বারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’য় ফুল দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি , অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সহায়ক কর্মচারী সমিতি, সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় কর্মকর্তা সমিতি ফুল দেওয়ার পরে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে উঠলে তাদের আক্রমণ করেন সমিতির নেতা কর্মীরা। এসময় বেদীর উপরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
একই সময় সহায়ক কর্মচারী সমিতি ফুল দেওয়ার পর টেকনিক্যাল সহায়ক কর্মচারী সমিতি ফুল দিতে বেদীতে উঠলে পূনরায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয়ের পুষ্পমাল্য ভেঙ্গে চুরমার হয়। পরে লাঠি সোটা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরকে মারতে তেড়ে আসেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক ও অন্যান্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও পরে কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির নেতা কর্মীরা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সহায়ক টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির নেতা কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে ক্যাম্পাস জুড়ে উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করে। এসময় পেশাদারী দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মরত সাংবাদিকরা কর্মকর্তা সমিতি ও সহায়ক কর্মচারী সমিতির নেতাকর্মীদের কাছে হেনস্তার শিকার হয়।
ঘটনা ভয়ানক পরিস্থিতিতে রূপ নিলে উপ-উপাচার্য মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বেদীর আশপাশে অবস্থান নিয়ে অন্যান্য বিভাগ, হল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোকে ফুল দেওয়ার পরিবেশ করে দেয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, 'অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি ছিলো। প্রক্টরিয়াল বডির পাশাপাশি আরো কিছু শিক্ষক ও পুলিশ সংখ্যা বাড়ানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের। উপাচার্য মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
মন্তব্য করুন