অবহেলাজনিত কারণে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন প্রসূতির স্বামী এস এ আলম সবুজ।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ তদন্ত করে ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক নাসরিন, শওকত আলী আরমান, দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকার।

এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে সমকালকে বলেন, এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলা। তিনি ১৫ বছর আগে ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখেন না। প্রায় তিনমাস আগের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মূলত জনগণের স্বার্থে কথা বলার কারণেই তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ভালো সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব ব্যথা উঠলে সেবিকা শংকরী রানীকে বিষয়টি জানান প্রসূতির স্বামী। সেবিকা তাতে গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকদের ডাকার অনুরোধ করেন। পরে ইনটার্ন চিকিৎসক শুভ ও নূপুর এসে বলেন, সবকিছু ঠিক আছে।

এতে বলা হয়, এরপর শংকরী রানী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে ফোন করেন। তবে তারা আসেননি। স্যালাইন, ব্যথানাশক ছাড়াই জোর করে সন্তান প্রসব করান শংকরী রানী। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নাসরিন আক্তার মারা যান।

বাদী জবানবন্দিতে দাবি করেছেন, রোগীর মৃত্যুতে অবহেলার দায় স্বীকার করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখন তা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাদীপক্ষকে পাত্তা দেয় না। গত ১৭ ডিসেম্বর ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে সেখান থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।