শারদীয় দুর্গোৎসবে মহানগর পূজা কমিটির ২৫ নির্দেশনা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩:৫৫ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:৫০
ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু শারদীয় দুর্গোৎসব। বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এ উৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকার ২৪৬টি পূজামণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।
বুধবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো– প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি মন্দির ও মণ্ডপে নিজ উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্দির ও মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মণ্ডপে নারী ও পুরুষের পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা রাখা এবং শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিজস্ব নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা মোবাইল ফোন নম্বরসহ জেলা ও কেন্দ্রে পাঠানো। সন্দেহভাজন দর্শনার্থীদের এবং নারী স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা। মাইক, পিএসেট, আতশবাজি ও পটকা ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং ভক্তিমূলক ছাড়া অন্য কোনো গান না বাজানো। কারও ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে– এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা। মন্দির ও মণ্ডপে আর্থিক সংগতি সাপেক্ষে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা সংযোগের ব্যবস্থা করা। মণ্ডপসংলগ্ন এলাকায় এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখা। অস্থায়ী মন্দিরগুলোর প্রতিমা বিজয়া দশমীর দিনেই বিসর্জন দেওয়া। দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সূচি থাকলে অবশ্যই আগেই থানাকে জানানো। যৌন হয়রানি, ছিনতাই ইত্যাদিতে কেউ জড়িত হলে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা। যানবাহন ও দর্শনার্থী চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে– এমন স্থানে পূজাকালীন কোনো দোকানপাট বরাদ্দ না দেওয়া। প্রতিমা নির্মাণ স্থান ও পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা পাহারার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, আগামী ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে বেলা ৩টার পর প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন ঘাটে যেতে হবে। মহানগর পূজা কমিটির নেতৃত্বে বেলা ৩টায় পলাশীর মোড় থেকে প্রতি বছরের মতো বিজয়া শোভাযাত্রা বিভিন্ন স্থান ঘুরে শেষ হবে বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে। শোভাযাত্রা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে মহানগর পূজা কমিটির মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে অন্তত দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও অর্পিত সম্পত্তি ফেরত প্রদানে জটিলতা নিরসনসহ কয়েক দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
- বিষয় :
- দুর্গোৎসব
- দুর্গাপূজা
- পূজা কমিটি