অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান ইউজিসি’র

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ১০:২০ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ১০:২০
দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেকোনো বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হলে কালক্ষেপণ না করে তা আমলে নেওয়া এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
সোমবার ইউজিসিতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে এক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, অভিযোগ বা ঘটনা ছোট কিংবা বড়; এই দৃষ্টিতে না দেখে বরং প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হলেও আইনের সম প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অভিযোগ প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বচ্ছ অভিযোগ বাক্স স্থাপন এবং এখানে অভিযোগ পড়ছে কিনা সেটি নিয়মিত তদারকি করার আহ্বান জানান।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, অভিযোগ প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা থাকলে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধের ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত প্রতিকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার প্রথম ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্র্রতিবেদনের ওপর একটি পৃথক ফিডব্যাক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি’র আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভুইয়া।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে প্রফেসর আলমগীর বলেন, দেশে নতুন কোনো পাবলিক বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে শিক্ষার গুণগতমান বজায় রাখা যাবে না, এই ধারণা ঠিক নয়। দেশে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে সেটি ঘিরে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং নবধারার শহর ও জনপদ গড়ে ওঠে।
এছাড়া ইউজিসি আউটকাম বেইজড এডুকেশন ও উচ্চশিক্ষায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন হবে বলে তিনি মনে করেন। অনুষ্ঠানে ইউজিসির উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদ, উপসচিব ও নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানসহ ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।