হত্যা মামলা থাকলেও নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতারা, যা বললেন আইজিপি

উদ্বোধন অনুষ্ঠান বক্তব্য দেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫:১১ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ২১:৩১
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, হত্যা ও নাশকতার মামলার বিষয়গুলো তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্তে যে তথ্য আসবে, যার বিরুদ্ধে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তার বিরুদ্ধে সেই মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যদি হত্যা মামলার তথ্য পাওয়া যায় তাহলে ওই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু ২য় দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো-কুরাশ প্রতিযোগিতা ২০২৩’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকার পরও নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশের যেই প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য আছে, সেটি দিয়ে বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের মনোবল অটুট এবং চাঙা রয়েছে মন্তব্য বলে করেছেন । তিনি বলেন, যার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ, সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সময় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কেউ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। পুলিশ তদন্ত করে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করছে।
হামলা ও নাশকতায় পুলিশ সদস্য নিহত-আহত হওয়ার ফলে আগামীতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, পুলিশ বাহিনী দেড়শ বছরের একটি পুরোনো প্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে আসছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আগামী দিনেও দায়িত্ব থেকে পিছপা হবে না পুলিশ। যেকোনো উসকানির মুখে দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবে পুলিশ। বাহিনীর যারা আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে পুলিশের মনোবল অটুট আছে।
আইজিপি বলেন, পুলিশ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। গত ২৮ অক্টোবরও সেভাবেই দায়িত্ব পালনে প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা গেল সেখানে কিছু বাসে আগুন দেওয়া শুরু। পথচারীদের ওপর আক্রমণ, কিছু রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর আক্রমণ শুরু হয়। এটা যখন শুরু হয়, তখন সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যেটুকু শক্তি প্রয়োগ করার প্রয়োজন ছিল, সেটুকু শক্তিই প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।