ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী ১ লাখ ছুঁইছুঁই

ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫:৪০ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ | ২১:৪০
ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) আরও ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশে এই নিয়ে ডেঙ্গুতে এবছরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭০ জনে। একদিনে আরও এক হাজার ৭২৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত দুই লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৯৯ হাজার ৯৩২ জন এবং ঢাকার বাইরে এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৪ জন।
মারা গেছেন এক হাজার ৩৭০ জনের মধ্যে নারী ৭৮১ জন এবং পুরুষ ৫৮৯ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৫৫৪ জন এবং রাজধানীতে ৮১৬ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৭২৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৩৪৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এক হাজার ৭২৮ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৭০ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ৭৬২ জন এবং ঢাকার বাইরে চার হাজার ৫০৮ জন।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত দুই লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত এক লাখ ৬৫ হাজার ২৬০ জন এবং নারী এক লাখ ৯ হাজার ৫৪৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই লাখ ৬৩ হাজার ৩০০ জন।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবছর জুন দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখা দেয়, এ মাসে মাসে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত রোগী ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। অক্টোবরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৩৫৯ জন।
দেশে ইতোমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। মৃত্যুও বেশি গ্রামে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। বর্তমান রোগীর চেয়ে আরও ১০ গুণ বেশি হবে। কারণ, অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।