জনবল সংকট চিকিৎসা খাতের বড় চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪:৪০ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ২০:৪০
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। তার পরও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জনবলের ঘাটতি।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়া এবং বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়ামুক্ত হওয়া উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মলনে স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব আজিজুর রহমান, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি নতুন হাসপাতাল করেছি। আটটি বিভাগে ৮টি ইমেজিং সিস্টেম তৈরি হয়েছে; শয্যাসংখ্যা বাড়িয়েছি। তবে চাহিদা অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ করা অনেক সময়ের ব্যাপার। এত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বিশ্বে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়া নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সনদও আমরা পেয়েছি। ডব্লিউএইচওর গাইডলাইন আমরা অনুসরণ করেছি। মানসম্মত চিকিৎসা ও ল্যাব স্থাপনেও আমরা বিশেষভাবে কাজ করেছি।’
গত চার বছরের তথ্য ডব্লিউএইচওকে দেওয়ার পর তারা রিভিউ করে দেখেছে, বাংলাদেশ কালাজ্বর নির্মূল করতে পেরেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সত্তরের দশকে বিভিন্ন এলাকায় কিছুসংখ্যক কালাজ্বরের রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ৮০ সালে পাবনা জেলায় একটি প্রাদুর্ভাব ঘটে। এ রোগটি বেলে মাছির কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। সময়মতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যু হয় ৯৫ শতাংশ কালাজ্বর রোগীর। এই জ্বরের লক্ষণ হলো অনিয়মিত দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, যকৃতের বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস এবং রক্তস্বল্পতা।’