- বাংলাদেশ
- শুধু ব্যবসা নয়, গবেষণায়ও নজর দিন: ডা. জাফরুল্লাহ
শুধু ব্যবসা নয়, গবেষণায়ও নজর দিন: ডা. জাফরুল্লাহ

ফাইল ছবি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, শুধু ব্যবসায়ীদের দিকে নয়, সরকারের গবেষণার দিকেও নজর দিতে হবে। এইদিকে নজর দিলে করোনাভাইরাস বিষয়ে ব্যাপক আকারে গবেষণা করা যাবে। দেশের তরুণ গবেষককদের দিয়ে বাংলাদেশের ছয় মাসের মধ্যে সবগুলো টিকা তৈরি করা সম্ভব।
সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক বাংলাদেশে নতুন SARS-CoV-2 ভেরিয়েন্টে শনাক্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় গবেষকরা বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনাভাইরাস সদৃশ্য (E484K) মিউটেশন পাওয়া গেছে। মিউটেশন যে কোনো ভাইরাসের সাধারণ একটি বৈশিষ্ট্য। ভাইরাস প্রতিনিয়ত এর বৈশিষ্ট পরিবর্তন করে। করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকেও সে অনুযায়ী গবেষণার ধরন পরিবর্তন করতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সমমনা প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাক্সিনেশন শেষ করতে হবে। যত দ্রুত জনগণকে টিকা দিতে পারব তত তাড়াতাড়ি কোভিড-১৯ জনিত রোগ ছড়িয়ে পড়া বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে করোনার মারাত্মক কোনো মিউটেশনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারব।
সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশের ৪৩ বিলিয়ন ডলার মজুদ রয়েছে। একটা অত্যন্ত ভালো খবর। সরকারকে অনুরোধ করছি- এই টাকার মাত্র অর্ধেক বিলিয়ন ডলার (জনপ্রতি মাত্র ৩ ডলার) সরকার গবেষণার জন্য বিনিয়োগ করুক। আমাদের প্রতিটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করতে পারবে। তাদের গবেষণার সুযোগটা করে দিতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটা মানুষের মঙ্গলার্থে এই গবেষণা করা প্রয়োজন। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশ গবেষণার কাজে, বাকি এক-চতুর্থাংশ টিকা উৎপাদনে ব্যয় করা হবে। বিদেশ থেকেও আমরা গবেষক আনতে পারি। এটা করা গেলে বর্তমান সময়ে বাজারে যতগুলো টিকা রয়েছে তার সবগুলোই আমরা ছয় মাসে তৈরি করতে পারি।'
গণস্বাস্থ্য-আরএনএ মলিকুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ গবেষণায় প্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল নমুনা থেকে সার্স কোভ-২ ভেরিয়েন্টের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করেছে।
মতবিনিময় সভায় আরও আলোচনা করেন- গণস্বাস্থ্য সামাজিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডা. অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী, মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান ড. মাহবুবুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রায়েদ জমিরউদ্দিন, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নীহাদ আদনান, গণস্বাস্থ্যের করোনা কিটের সমন্বয়ক এবং মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আইসিইউ প্রধান অধ্যাপক নজিব মোহাম্মদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
মন্তব্য করুন