সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আহতদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চায় সংগঠনটি। এসব বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নেরও দাবি তুলেছে তারা।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব দাবি জানান। তিনি বলেন, গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি চলছে। পরিবহন খাতের বিভিন্ন কমিটিতে মালিক-শ্রমিকদের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণেই সরকার চেষ্টা করেও এসব অনিয়ম বন্ধে সফল হচ্ছে না।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গে বর্ধিত জেল-জরিমানা আদায় হলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন হয়নি ১৫ মাসেও। ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না।

তিনি প্রস্তাব করেন, সড়ক পরিবহন আইনে যত জরিমানা আদায় করা হয় তা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিলে জমা করা যেতে পারে। এ ছাড়াও যানবাহনপ্রতি নির্দিষ্ট ফি আদায় করে ট্রাস্টি বোর্ডের তহবিল গঠন করা যেতে পারে। সড়ক ও সেতুর টোলের একটি অংশ জমা করলে বছরে হাজার কোটি টাকার তহবিল হবে। তা থেকে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব। তহবিল পরিচালনায় শুধু মালিক-শ্রমিক নেতাদের কর্তৃত্ব থাকলে সাধারণ যাত্রী ও পথচারীরা বঞ্চিত হতে পারেন। তাই ট্রাস্টি বোর্ডে অন্যান্য পেশার প্রতিনিধিদেরও রাখতে হবে।