
তখন তার বয়স ছিল সাড়ে চার বছর। স্কুলই শুরু হয়নি সেভাবে। একে একে ৯টি বছর গেছে। সেদিনের ছোট্ট মিহির সরওয়ার মেঘ এখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু তার বাবা সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মা মেহেরুন রুনিকে হত্যার মামলায় এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছেন, 'বিচার হবে না, আর কবে হবে?' কার কাছে গেলে বিচার পাবেন, কাকে ধরলে বিচার পাবেন, সেই ভরসাও তার নেই। 'কাকে ধরব, কার কাছে যাব? এখন আর কারও কাছে বিচার চাই না। সব আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।'
আর সাগরের মা সালেহা মনিরের আশঙ্কা, এখন কিছুটা প্রতিবাদের স্বর থাকলেও দ্রুতই হয়তো তা মিলিয়ে যাবে। সমকালকে তিনি বলেন, 'ধীরে ধীরে সবাই চুপ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তো মা। ভুলতে পারব না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিচার চেয়ে যাব।'
'বিচার কী হবে জানি না। অন্তত প্রকৃত সত্যটা জানা যাক যে, কেন ওদের মারা হয়েছে,' ভেজা গলায় বলেন সাগরের মা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ফ্ল্যাট থেকে সাগর-রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাগর ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক। আর রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূকে হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি সালেহা মনির। প্রতিটি দিন তার মনের কোণে ভেসে ওঠে প্রিয় দুটি মুখ। তখন অশ্রুই হয়ে ওঠে তার একমাত্র সহচর। নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন, 'অনেক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার তো হচ্ছে। তাহলে সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে সমস্যা কোথায়? ৯ বছর হয়ে গেল, আসলে কী যে হচ্ছে, নাটক নাকি চোর-পুলিশ খেলা? বুঝতে পারছি না।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সাগরের মায়ের আবেদন, 'আমার একটাই চাওয়া, মুজিববর্ষে আপনি এই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করুন। এটা একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।'
থানা পুলিশ ও ডিবির ব্যর্থতার পর সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি এখন তদন্ত করছে র্যাব। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, হত্যায় ব্যবহূত ছুরি, বঁটি, ছুরির বাঁট, সাগর-রুনির পরনের কাপড় ও সাগরের হাত-পা বাঁধা কাপড় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। হত্যায় সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তির ডিএনএ নমুনাও বিদেশি ল্যাবে পাঠানো হয়। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থার হাতে এসেছে। তবে তা দিয়ে আসামি শনাক্তের জন্য কার্যকর ক্লু মেলেনি।
তদন্তের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এ পর্যন্ত ৭৮ বার পেছানো হয়েছে প্রতিবেদন জমার তারিখ। আগামী ১১ মার্চ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে কেন দীর্ঘসূত্রতা- সে প্রশ্নেরও কোনো উত্তর মেলেনি। মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান সমকালকে বলেন, 'এতদিনেও তদন্ত শেষ না হওয়া তদন্তকারী সংস্থার ব্যর্থতা, নয়তো হত্যায় এমন কেউ জড়িত যাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। সত্যি বলতে এখন বিচার চাইতেও লজ্জা লাগে।'
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক সমকালকে বলেন, 'চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার তদন্তের দিকে অনেক মানুষ তাকিয়ে আছেন। এত সময় লাগার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দ্রুত এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হোক। সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হোক অপরাধীদের সাজা।'
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক সমকালকে বলেন, 'কোন মামলার তদন্ত কত দিনে শেষ করতে হবে সে বিষয়ে আইনে বলা আছে। এ ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আইনি সুরক্ষা পায়নি ভুক্তভোগী পক্ষ। রাষ্ট্রের সদিচ্ছা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তদন্ত সংস্থা সময় বাড়ানোর আবেদন জানাতে পারে, তা মঞ্জুরও হতে পারে। তবে এই দীর্ঘসূত্রতা তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সমকালকে বলেন, 'এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এ ব্যাপারে জনগণের মতো তদন্তসংশ্নিষ্টদেরও আগ্রহ রয়েছে। নিরপেক্ষ ও ভারমুক্তভাবে এ মামলার তদন্ত করছে র্যাব। ইতিবাচকভাবে তদন্ত এগিয়ে চলেছে। যথাসময়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।'
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় মামলা হয় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায়। চার দিনের মাথায় তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৬২ দিন পর সংস্থাটি তদন্তে ব্যর্থতা স্বীকার করলে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবে স্থানান্তর করা হয়। ওই বছরের ২৬ এপ্রিল পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে দু'জনের লাশ তোলা হয়। তখন ভিসেরা আলামতসহ আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই র্যাব বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে এ মামলা গ্রেপ্তার দেখায়। এ ছাড়া ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও দারোয়ান এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, '৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে।' এর দু'দিন পর তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার জানান, 'প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি' হয়েছে। তবে আজও সেই অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। শেষ হয়নি সেই '৪৮ ঘণ্টা'!
সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সকাল ১১টায় ডিআরইউ চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছেন, 'বিচার হবে না, আর কবে হবে?' কার কাছে গেলে বিচার পাবেন, কাকে ধরলে বিচার পাবেন, সেই ভরসাও তার নেই। 'কাকে ধরব, কার কাছে যাব? এখন আর কারও কাছে বিচার চাই না। সব আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।'
আর সাগরের মা সালেহা মনিরের আশঙ্কা, এখন কিছুটা প্রতিবাদের স্বর থাকলেও দ্রুতই হয়তো তা মিলিয়ে যাবে। সমকালকে তিনি বলেন, 'ধীরে ধীরে সবাই চুপ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তো মা। ভুলতে পারব না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিচার চেয়ে যাব।'
'বিচার কী হবে জানি না। অন্তত প্রকৃত সত্যটা জানা যাক যে, কেন ওদের মারা হয়েছে,' ভেজা গলায় বলেন সাগরের মা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ফ্ল্যাট থেকে সাগর-রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাগর ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক। আর রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূকে হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি সালেহা মনির। প্রতিটি দিন তার মনের কোণে ভেসে ওঠে প্রিয় দুটি মুখ। তখন অশ্রুই হয়ে ওঠে তার একমাত্র সহচর। নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন, 'অনেক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার তো হচ্ছে। তাহলে সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে সমস্যা কোথায়? ৯ বছর হয়ে গেল, আসলে কী যে হচ্ছে, নাটক নাকি চোর-পুলিশ খেলা? বুঝতে পারছি না।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সাগরের মায়ের আবেদন, 'আমার একটাই চাওয়া, মুজিববর্ষে আপনি এই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করুন। এটা একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।'
থানা পুলিশ ও ডিবির ব্যর্থতার পর সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি এখন তদন্ত করছে র্যাব। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, হত্যায় ব্যবহূত ছুরি, বঁটি, ছুরির বাঁট, সাগর-রুনির পরনের কাপড় ও সাগরের হাত-পা বাঁধা কাপড় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। হত্যায় সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তির ডিএনএ নমুনাও বিদেশি ল্যাবে পাঠানো হয়। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদন তদন্ত সংস্থার হাতে এসেছে। তবে তা দিয়ে আসামি শনাক্তের জন্য কার্যকর ক্লু মেলেনি।
তদন্তের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এ পর্যন্ত ৭৮ বার পেছানো হয়েছে প্রতিবেদন জমার তারিখ। আগামী ১১ মার্চ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে কেন দীর্ঘসূত্রতা- সে প্রশ্নেরও কোনো উত্তর মেলেনি। মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান সমকালকে বলেন, 'এতদিনেও তদন্ত শেষ না হওয়া তদন্তকারী সংস্থার ব্যর্থতা, নয়তো হত্যায় এমন কেউ জড়িত যাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। সত্যি বলতে এখন বিচার চাইতেও লজ্জা লাগে।'
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক সমকালকে বলেন, 'চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার তদন্তের দিকে অনেক মানুষ তাকিয়ে আছেন। এত সময় লাগার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দ্রুত এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হোক। সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হোক অপরাধীদের সাজা।'
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক সমকালকে বলেন, 'কোন মামলার তদন্ত কত দিনে শেষ করতে হবে সে বিষয়ে আইনে বলা আছে। এ ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আইনি সুরক্ষা পায়নি ভুক্তভোগী পক্ষ। রাষ্ট্রের সদিচ্ছা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তদন্ত সংস্থা সময় বাড়ানোর আবেদন জানাতে পারে, তা মঞ্জুরও হতে পারে। তবে এই দীর্ঘসূত্রতা তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সমকালকে বলেন, 'এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এ ব্যাপারে জনগণের মতো তদন্তসংশ্নিষ্টদেরও আগ্রহ রয়েছে। নিরপেক্ষ ও ভারমুক্তভাবে এ মামলার তদন্ত করছে র্যাব। ইতিবাচকভাবে তদন্ত এগিয়ে চলেছে। যথাসময়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।'
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় মামলা হয় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায়। চার দিনের মাথায় তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৬২ দিন পর সংস্থাটি তদন্তে ব্যর্থতা স্বীকার করলে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবে স্থানান্তর করা হয়। ওই বছরের ২৬ এপ্রিল পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে দু'জনের লাশ তোলা হয়। তখন ভিসেরা আলামতসহ আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই র্যাব বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে এ মামলা গ্রেপ্তার দেখায়। এ ছাড়া ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও দারোয়ান এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, '৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে।' এর দু'দিন পর তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার জানান, 'প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি' হয়েছে। তবে আজও সেই অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। শেষ হয়নি সেই '৪৮ ঘণ্টা'!
সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সকাল ১১টায় ডিআরইউ চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন